ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় স্পেনে ছোট ভাই আন্দ্রে সিলভাসহ নিহত হয়েছেন লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়েগো জোতা। ইতোমধ্যে জন্মভূমি পোর্তোর গোন্ডোমারে তাদের সমাহিতও করা হয়েছে। তবে সেই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও বিভিন্ন পক্ষের প্রতিক্রিয়া আসছে এখনও। আর তাতেই এসেছে নতুন মোড়। দু’দিন আগে স্পেনের স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছিল, জোতা-সিলভারা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তবে ভিন্ন বক্তব্য এসেছে দুই প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে। নতুন মৌসুমের আগে ছুটি শেষে ইংল্যান্ডে লিভারপুল দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জোতার। স্পেন থেকে তারা ফেরি ধরতে উত্তরাঞ্চলের শহর সান্তান্দরে যাচ্ছিলেন। মূলত বিমানে ভ্রমণ নিষেধ থাকায় জোতা ও ভাই আন্দ্রে যাত্রা করেছিলেন ফেরির উদ্দেশে। কিছুদিন আগে ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করানোয় চিকিৎসক জোতাকে বিমানে ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছিলেন। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। স্পেনের জামোরা প্রদেশের এ-৫২ মহাসড়কে পৌঁছালে হঠাৎই তাদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত আগুন ধরে গেলে দুজনই নিহত হন। এ নিয়ে অনুসন্ধানের একপর্যায়ে স্পেনের সিভিল গার্ড (পুলিশ) গত মঙ্গলবার জানায়, জোতা অতিরিক্ত দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর একপর্যায়ে চাকা ফেটে ল্যাম্বরগিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। পরে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। সিভিল গার্ডের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে, যেখানে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গাড়ির একটি চাকার ছাপ ফেলে যাওয়াও পরীক্ষা করা হয়েছে। সড়কে যে গতিসীমা, তার চেয়ে বেশি গতিতে (গাড়ি) চালানোর প্রতি ইঙ্গিত করছে সবকিছু। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যায়, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন দিয়োগো জোতা।’ তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা ও এএস দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর বিপরীত বক্তব্য সামনে এনেছে। পর্তুগিজ নিউজ আউটলেট সিএমকে জোসে অ্যালেক্সো দুয়ার্তে নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘গাড়ি দুর্ঘটনার মিনিট পাঁচেক আগে সবুজ ল্যাম্বরগিনি গাড়িটি আমাদের অতিক্রম করে গিয়েছিল। স্বাভাবিক গতিই ছিল এবং কোনো বেপরোয়া কিংবা তাড়াহুড়ো মনোভাবের মনে হয়নি। তবে সড়কের অবস্থা ছিল ভয়াবহ।’ হোসে অ্যাজেভেদো নামের আরেক ট্রাকচালক দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণের দাবি করেছেন। যা সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়- আমি কিছু করতে চেয়েছি, কিন্তু কিছুই করার ছিল না। আমার বিবেচনাবোধ ছিল স্পষ্ট। তাদের পরিবারকেও আমি স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, তাদের গাড়ির গতি অতিরিক্ত ছিল না। পরে নিজের পরিচয় প্রমাণে আইডি কার্ডও দেখান সেই প্রত্যক্ষদর্শী। দুই গাড়িচালকের তথ্যমতে-এ-৫২ সড়কটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ, অন্ধকার ও ব্যবস্থাপনাও ভালো নয়। তবুও অনেকে এই সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালেও, জোতাদের গাড়ি খুব সাবধানী ছিল বলে আবারও নিশ্চিত করেন অ্যাজেভেদো। অন্যদিকে, পুলিশের বক্তব্যও পরিবর্তন হয়নি আগের চেয়ে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী ও তাদের মধ্যকার দাবি বিপরীতমুখী হওয়ায় নতুন করে বিতর্ক চলছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

নতুন মোড় নিলো দিয়েগো জোতার মৃত্যু
- আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৯:৫৭:০৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৯:৫৭:০৩ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ